মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার।।
নার্স হচ্ছে এক জন প্রশিক্ষিত মানুষ যিনি কোনো দেশ বা সংস্থার নিকট সার্টিফিকেট পেয়ে মানব সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন।
কুমিল্লায় ভাতার দাবিতে ইন্টার্ন নার্সরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
ডিপ্লোমা পড়ুয়া ইন্টার্ন নার্স ও মিডওয়াইফদের ভাতা আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতি ঘোষণা করেন তারা। এতে কুমিল্লা জেলা সদর হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মরত শিক্ষানবিশরা অংশ নেয়।
এসময় তাদের হাতে ‘আমাদের শ্রমের মূল্য দিতে হবে’ আমাদের দাবি ন্যায্য দাবি, মানতে হবে’ কর্তৃপক্ষ চুপ কেন জবাব চাই’ এমন সব প্ল্যাকার্ড ছিল।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সেস এসোসিয়েশনের (বিডিআইএনএ) ইন্টার্ন শেখ ফরিদ, আশিকুর রহমান, সাকিবুর রহমান, তহুরা হামিম, শারমিন, সাজেদা, পুতুল আক্তার প্রমুখ।
মানববন্ধনে ইন্টার্ন নার্সরা জানায়,আমরা আমাদের দাবি নিয়ে বারবার কাউন্সিলে যোগাযোগ ও আবেদন নিয়ে গিয়েও ইন্টার্ন ভাতা নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার কোনো সমাধান পাচ্ছি না। তাই আমাদের এই ন্যায্য পাওনা আদায়ের দাবিতে ইন্টার্ন ভাতা বিষয়ে কোনো সুরাহা না হলে এই কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।আমরা কুমিল্লা সরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে তিন বছর মেয়াদী “ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি” কোর্স সম্পন্ন করে সদর হাসপাতালে ইন্টার্ন নার্স হিসাবে কর্মরত আছি। নিয়মানুযায়ী আমরা ইন্টার্ন ভাতা পাই। কিন্তু বাস্তবে আমাদের কোন ভাতা দেওয়া হচ্ছে না।
তারা আরও জানায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজার, বাসা ভাড়া, থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, হাত খরচ সব মিলিয়ে প্রতিমাসে একেক জনের ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়। লেখা পড়া শেষ করে ইন্টার্নশিপ করা অবস্থায় বাসা থেকে টাকা এনে খরচ করাটা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। খরচ চালাতে গিয়ে আমাদের পরিবার হিমশিম খাচ্ছে। হাসপাতালে ফুলটাইম ডিউটি করে বাহিরে কোথাও কাজ করারও সুযোগ থাকে না, যে কারণে আমরা কোথাও কাজও করতে পারছি না।
এছাড়াও অনেক পরিবার মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্ত, যেখানে তাদের দিনাতিপাত করাই কষ্টসাধ্য হচ্ছে। সেখানে সন্তানের ইন্টার্নশিপ চলাকালীন খরচ চালানোর জন্য মাসে ৮-১০ হাজার টাকার ভার বহন করাটা কষ্টসাধ্য। বেতন ভাতার বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা করেন তারা।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page